জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন (২০২৪-২০২৫): সঠিক গাইডলাইন ও প্রস্তুতির কৌশল
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন (২০২৪-২০২৫)
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ নিয়ে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা এখানে বিস্তারিত মানবন্টন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরছি। এই আর্টিকেলটি মানবিক, ব্যবসা শিক্ষা, এবং বিজ্ঞান তিনটি বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা প্রদান করবে। আসুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ভর্তি পরীক্ষার মূল কাঠামো
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ভর্তি পরীক্ষা ২০০ নম্বরের হবে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।
- এসএসসি GPA: মোট নম্বরের ৪০%।
- এইচএসসি GPA: মোট নম্বরের ৬০%।
- লিখিত পরীক্ষা: বাকি অংশের নম্বর সরাসরি প্রশ্নপত্রের উত্তর দ্বারা নির্ধারিত হবে।
পরীক্ষার নম্বর বণ্টন (তিন বিভাগ)
১. ব্যবসা শিক্ষা বিভাগ
ব্যবসা শিক্ষা শাখার জন্য পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরের। বিভাগভিত্তিক বিষয় এবং তাদের নম্বর বণ্টন হলো:
- বাংলা: ২৫ নম্বর।
- ইংরেজি: ২৫ নম্বর।
- সাধারণ জ্ঞান (জিকে): ১০ নম্বর।
- হিসাববিজ্ঞান: ২০ নম্বর।
- ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ: ২০ নম্বর।
২. মানবিক বিভাগ
মানবিক বিভাগের পরীক্ষার নম্বর বণ্টন কিছুটা আলাদা। এখানে থাকবে:
- বাংলা: ২৫ নম্বর।
- ইংরেজি: ২৫ নম্বর।
- সাধারণ জ্ঞান: ১০ নম্বর।
- এইচএসসিতে পঠিত যেকোন চারটি বিষয়ের প্রশ্ন: প্রতিটি বিষয় ১০ নম্বর করে (৪ × ১০ = ৪০)।
৩. বিজ্ঞান বিভাগ
বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষা মোট ১০০ নম্বরের, যেখানে বিষয়গুলো বিভক্ত নিম্নরূপ:
- বাংলা: ২০ নম্বর।
- ইংরেজি: ২০ নম্বর।
- সাধারণ জ্ঞান: ১০ নম্বর।
- পদার্থবিজ্ঞান: ১৭ নম্বর।
- রসায়ন: ১৭ নম্বর।
- গণিত/জীববিজ্ঞান: ১৬ নম্বর।
পাশ নম্বর ও বাধ্যতামূলক শর্ত
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পাস করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মেনে চলতে হবে:
- মোট ৪০ নম্বর পেতে হবে।
- বাংলা এবং ইংরেজি বিষয়ে বাধ্যতামূলক পাস (ন্যূনতম ৮ নম্বর) করতে হবে।
- বাংলা বা ইংরেজিতে ৮-এর কম নম্বর পেলে, মোট ৪০ নম্বর পেলেও পরীক্ষার্থীকে ফেল হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
নোট: ভর্তি পরীক্ষায় কোনো নেগেটিভ মার্কিং নেই।
ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির সেরা কৌশল
১. সঠিক সিলেবাস অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নগুলো মূলত এইচএসসি এবং এসএসসির শর্ট সিলেবাস থেকে প্রণীত হয়। তাই শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত বই কিনতে গিয়ে সময় নষ্ট না করে এইচএসসির বইগুলো থেকে অধ্যয়ন করলে সফল হওয়া সহজ হবে।
২. প্রতিদিন সময় ভাগ করে পড়াশোনা করা
তিনটি বিভাগের জন্য প্রস্তুতির মূল চাবিকাঠি হলো সঠিক পরিকল্পনা। বাংলা, ইংরেজি, এবং সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে প্রতিদিন সময় দিন এবং নিজের দুর্বল বিষয়গুলো চিহ্নিত করে সেগুলোতে ফোকাস করুন।
৩. মডেল টেস্ট এবং অনুশীলন
প্রতিদিন এক বা দুইটি মডেল টেস্ট দেওয়ার অভ্যাস করুন। এটি আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং পরীক্ষার সময় দক্ষতা উন্নত করবে।
৪. ব্যবসা শিক্ষা ও বিজ্ঞান বিভাগের বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি
ব্যবসা শিক্ষার জন্য হিসাববিজ্ঞান এবং ব্যবসায় নীতির ওপর ভালো দখল থাকা জরুরি।
বিজ্ঞান বিভাগের জন্য গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের সমস্যাগুলো নিয়মিত অনুশীলন করুন।
কেন এই পরীক্ষাটি গুরুত্বপূর্ণ?
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন পেশায় নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছে। এটি এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা কম খরচে উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দেয়।
ভর্তি পরীক্ষার উদ্দেশ্য:
- মেধাভিত্তিক শিক্ষার্থী নির্বাচন।
- দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঠিক মান বজায় রাখা।
শেষ কথা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্য আপনার প্রস্তুতি শুরু করার এটি একটি উপযুক্ত সময়। পরীক্ষার সঠিক মানবন্টন ও নিয়ম-কানুন সম্পর্কে সচেতন থাকলে সফলতার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
প্রস্তুতি নিন সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে। যেকোনো তথ্য জানতে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল নোটিশ অনুসরণ করুন।
আপনার সাফল্য কামনা করছি!
FAQs
১.জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার মোট নম্বর কত?
মোট নম্বর ২০০।
২.বাংলা এবং ইংরেজিতে ন্যূনতম কত নম্বর পেতে হবে?
ন্যূনতম ৮ নম্বর পেতে হবে।
৩.পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কিং আছে কি?
না, নেগেটিভ মার্কিং নেই।
৪.বিজ্ঞান বিভাগে কোন কোন বিষয় থাকবে?
বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং গণিত/জীববিজ্ঞান।
৫.মানবিক বিভাগের পরীক্ষায় কোন বিষয়গুলোর ওপর প্রশ্ন থাকবে?
বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান এবং এইচএসসিতে পঠিত যেকোন চারটি বিষয়।
নার্সিং এডমিশন একাডেমির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url